আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায় আজ আরাধ্য ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন করছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে এই দিনটি পালিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
হিন্দু পুরাণ মতে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, যুগে যুগে দুষ্ট শক্তির বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান মানুষদের মধ্যে অবতীর্ণ হন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি এবং ইসকনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ সরকারি ছুটি থাকায় বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হচ্ছে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টায় গীতাযজ্ঞ, বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মিছিল, এবং রাতের শ্রীকৃষ্ণ পূজা। গীতাযজ্ঞ পরিচালনা করবেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শংকর মঠ ও মিশনের সাংগঠনিক টিম।
মিছিলের উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, উপস্থিত থাকবেন নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।
মিছিলটি জগন্নাথ হল, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড়, বঙ্গবাজার, গোলাপশাহ মাজার হয়ে পুরোনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।
এছাড়া ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ধাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন মজুমদার, সভাপতিত্ব করবেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ১৪ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত চার দিনব্যাপী বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এতে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, ভজন-কীর্তন, ভোগ আরতি, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় নাটক ও কীর্তন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।