কোলাকুলি করে কাকরাইল মসজিদ বুঝে নিয়েছে সাদপন্থীরা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম

কোলাকুলি করে কাকরাইল মসজিদ বুঝে নিয়েছে সাদপন্থীরা

কোলাকুলি করে কাকরাইল মসজিদ বুঝে নেন সাদপন্থীরা।

রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করলেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। শুক্রবার জুমার আগে হাজার হাজার সাদপন্থী একত্রে কাকরাইল মসজিদে যান। তবে শুরুতে কিছুটা হট্টগোল হলেও কোলাকুলি করেই মসজিদের কার্যক্রম বুঝিয়ে দেন জোবায়েরপন্থীরা।

শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাকরাইল মসজিদে আসতে শুরু করে সাদপন্থীরা। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদপন্থীরা মসজিদে প্রবেশের সময় কিছুটা হট্টগোল হয়। তবে পরে কোনো সমস্যা হয়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষই সমঝোতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে- কাকরাইল মসজিদে চার সপ্তাহ থাকবেন জুবায়েরপন্থীরা আর দুই সপ্তাহ থাকবেন সাদপন্থিরা। সে অনুযায়ী সাদপন্থীরা আজ জমায়েত হয়েছেন। এ সময় জোবায়ের পন্থীরা তাবলিগের বিভিন্ন সরঞ্জাম কোলাকুলি করে সাদপন্থীদের বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে যান।

১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সরকারের স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জোবায়েরপন্থী ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষের বিবদমান সমস্যার সমাধানে আগামী বছরের এপ্রিলে পদক্ষেপ নেবে সরকারের স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়। সে পর্যন্ত দুই পক্ষই আগের নিয়মে কাকরাইল মসজিদে থাকবে, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবে।

এদিকে জুমআর নামাজের খুতবা ১২ টা ৫ মিনিটে শুরু হয়। এরপর জুমআর নামাজ ১২ টা ২২ মিনিটে শুরু হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে সাদপন্থীরা স্থান ত্যাগ করে। শুধু কাকরাইল মসজিদ নয় বরং মসজিদের বাহিরের রাস্তায় এই নামাজ আদায় করা হয়। সেখানে কাকরাইল মসজিদ থেকে মৎস ভবন হয়ে হাইকোর্টের সামনে ও কাকরাইল মোড় হয়ে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছিলেন সাদপন্থীরা।

মোনাজাত শেষে যে যার অবস্থানে ফিরে যেতে বলা হয়। তবে যত্রতত্র মুত্রত্যাগ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। সেই সাথে কেউ যেন প্রয়োজনের ব্যতীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়।

মিরপুর থেকে আগত মো. হুসাইন আহমেদ বলেন, শতবর্ষে তাবলীগে কোন ঝামেলা হয়নি। যখন তৃতীয় পক্ষ এসেছে তখন থেকে অপপ্রচারের মাধ্যমে ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই মাওলানা সাদকে যেন বাংলাদেশে আসতে কোন বাধা দেয়া না হয়। এদিকে দুই পর্বে  ইজতেমা হবে এটাও অনেকটা অপ্রীতিকর। আলোচনা মাধ্যমে যেন এক পর্বেই সবাই ইজতেমা করতে পারে সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Link copied!