সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যাংকে আমানতের সুদহার বাড়ার কারণে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এক সভায় সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত আসে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি মানুষের ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করেছে। এই অবস্থায় সঞ্চয়পত্রে সুদহার বাড়ালে, যারা এই খাতে বিনিয়োগ করেন, তারা কিছুটা স্বস্তি পাবে।
তাই সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগে বেশি মুনাফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য সুখবর বলেই মনে করছেন তারা।
তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। কারণ, ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাড়লে, বিনিয়োগকারীরা সেদিকে আকৃষ্ট হয়। পুঁজিবাজারের প্রতি তাদের আগ্রহ কমে যায়।
বর্তমানে মেয়াদ শেষে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের অর্থ সুদাসলে তাদের হিসাবে ফেরত দেয়া হয়। আইএমএফের চাপ ও অধিক সুদ ব্যয়ের কারণে গত কয়েক বছর ধরে সরকার জনগণের জন্য সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করে আসছিল।
কিন্তু রাজস্ব আহরণ কমে যাওয়ায় এবং ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া কমাতে আবারও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছে সরকার।
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে সুদের হার বেড়ে বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে স্থায়ী আমানতে ৯ থেকে ১১ শতাংশ সুদ দেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো ব্যাংক ১৩ শতাংশ পর্যন্তও দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: লাগামহীনভাবে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য, দিশেহারা মানুষ
আর বর্তমানে তিন মাস মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়া হচ্ছে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, পূর্ণ মেয়াদে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং পেনশন সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হচ্ছে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেন এমন কয়েকজন মনে করছেন, সুদহার বাড়ানোর ফলে তারা আরো নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগ করতে পারবেন।