সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি(শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সাবেক শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসহ গুলো। বুধবার শাহবাগের বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সামনে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। গণ অবস্থানে আসা ব্যক্তারা বলেন, আমরা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সাথে আছি। যতক্ষণ তাদের দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ আমরাও তাদের সাথে আছি এবং থাকবো। এছাড়া দাবি আদায় পূরণ না হওয়া পর্যন্ত গন অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
সাবেক শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি
অর্থ সহায়তা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীদের মুক্তি চাইছেন ভিসি পদত্যাগের দাবিতে শাহবাগ গণ অবস্থান কর্মসুচিতে উপস্থিত হয়ে আর্কিটেকচার সাস্ট এলামনাই এসোশিয়েন (আশা)র প্রতিনিধি শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সংহতি প্রকাশ বিভিন্ন সংগঠনের
গণ অবস্থানে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক হারুনুর রশিদ শাবিপ্রবির শিক্ষক জাফর ইকবালের সমালোচনা করে বলেন, উনি কিন্তু উপাচার্যের পদত্যাগ বিষয়টি তুলে ধরেন নেই। তাহলে কি উপাচার্য থাকবেন নাকি থাকবেন না। এ ভিসি থাকার পরেও ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কি অনুরূপভাবে চলবে?? এ দায় জাফর ইকবাল কে নিতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জয়দেব ভট্টাচার্য বলেন, প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পুরো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা কঠিন চিত্র ফুটে উঠেছে। এই আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে উপাচার্য নিয়োগের অমিয়ম ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, পুলিশের হামলা-মামলার পরেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ওখানকার শিক্ষার্থীরা আজ অনশন ভংগন করলেও ভিসির পদত্যাগে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, যার সাথে আমরাও সংহতি প্রকাশ করছি।
আন্দোলনের বিষয় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন,শাবিপ্রবির ছাত্ররা অনশন থেকে সরে গেছে কিন্তু আন্দোলন থেকে সরে যায়নি। ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আপনেরা জানেন সিলেট যেই সমস্যা চলছে তা পুরো দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা। তাই আমরা আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।
সংস্কৃতি কর্মী রহমান মফিজ বলেন, এখানে অনেকগুলো প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়েছেন। তাদের এই সংহতির সাথে কবি, সাহিত্যিকসহ নানানপেশার লোকেরাও একত্রিত হয়েছেন। আমাদের দাবি দ্বায়িত্ব জ্ঞানহীন এই ভিসির পদত্যাগ কামনা করছি। তিনি এমন বর্বর কাজ প্রদর্শন করে কখনও ভিসির পদে থাকতে পারে না বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসমানী আশা বলেন, শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের শতভাগ সংহতি রয়েছে। আমরা চাই অনতিবিলম্বে এই ভিসি পদত্যাগ করুক। এছাড়া শাবিপ্রবির ভিসির সাথে একাত্মতা পোষণ করে যে ৩৬ জন ভিসি পদত্যাগের কথা বলেছেন তারাও পদত্যাগ করুক।