গাবতলির তুরাগ নদীতে ঘুরতে গিয়ে নদীতে ডুবে মারা গেছে ফেরদৌস জামান নামের এক কিশোর। সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে ফেরদৌসকে বাসা থেকে বন্ধুরা ডেকে নিয়ে যায় বলে জানায় পরিবারের সদস্য। সেই সঙ্গে এ ঘটনাকে 'দুর্ঘটনা নয়, বরং হত্যাকাণ্ড' বলে দাবি করেন ফেরদৌসের পরিবার।
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল ফেরদৌসের ১০ জন বন্ধু যারা সকলেই এসএসসি পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আব্রার মাহি রাজিব জানান, সে পানিতে পরে গেলে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। অন্যদিকে অপর এক বন্ধু ইকরামুল ইসলাম বলেন, ওকে (ফেরদৌসকে) বাঁচাতে গিয়ে আমার দম আটকে গিয়েছিলো। এটা পরিকল্পিত হত্যা হলে আমি বাঁচানোর চেষ্টা করতাম না। নিজের জীবনের মায়া না করে ওকে বাঁচাইতে চেষ্টা করছি।
অবশ্য ফেরদৌসের ভাই জানান, বাসার নিচের কথা বলবে বলে ডেকে নিয়ে যায় বন্ধুরা। এর আগেও শত্রুতা বশত ফেরদৌসকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। আর সে কারণেই বন্ধুদের নিয়ে সন্দেহ।
ঘটনার সময় উপস্থিত অনেকেই জানান, সঙ্গে সঙ্গে ফেরদৌসকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে হয়ত সে ডুবে যেত না। একবার ডুবে যাওয়ার পর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় তার ১০ বন্ধুকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি তার লাশ।
ফেরদৌসের ভাই আলামিন দাবি করেন, বন্ধু সাতার জানত না, তারপরও তাকে গভীর পানিতে নিয়ে যাওয়া পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অংশ বলে মনে হচ্ছে। আর সে সময় যেই ভিডিও দেখা যায়, তাতে মনে হচ্ছে না বন্ধুদের কেউ ফেরদৌসকে বাঁচাতে এগিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমরা দারুস সালাম থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।