অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৩:০৯ পিএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করা কোনো হঠকারী ছিল না। নির্বাচন কমিশন চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, গতকাল গাইবান্ধা-৫ আসনের একাদশ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন ছিল। এ নির্বাচনটি যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে করণীয় সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা গত ২৮ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে উপস্থিত থেকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বক্তব্য রাখেন। সভায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় প্রধান, সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে আমি নিজে ও কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছি যাতে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর যতগুলো নির্বাচন করেছি সবগুলো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা, মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছিলাম যাতে ইভিএমের বিষয়ে যে গোপন ভোটকক্ষে অবৈধ লোক প্রবেশ করে বা অবস্থান করে ভোটারকে ব্যালট ইউনিটে ভোট প্রদানের সুযোগ না দিয়ে অবৈধ প্রবেশকারী তার আঙ্গুল দিয়ে ভোট দিয়ে দেন সে সংক্রান্ত যে অভিযোগ আমরা পেয়েছি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুধীজনের সঙ্গে সংলাপ চলাকালে তা বন্ধ করার জন্য।