জুন ১৩, ২০২২, ০২:৩৮ পিএম
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত গাজী সালাউদ্দিন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “২৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট আদালতের ডকেট শাখায় জমা দেয়া হয়েছে। এটি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আক্তার জাবেদের আদালতে তোলা হবে। এর পর চার্জগঠনের শুনানি হবে।”
উখিয়া থানার ওসি আরও বলেন, “মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।”
বেসরকারি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন মুহিবুল্লাহ। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তার জোরালো ভূমিকা ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্ত মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার ভাই হাবিবুল্লাহ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ ১৯৯২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আসেন। তখন থেকেই টেকনাফ অঞ্চলে অবস্থান নিয়ে নানাভাবে রোহিঙ্গাদের সংগঠিত করতে থাকেন।
মুহিবুল্লাহ ২০০০ সালের শুরুতে ১৫ জন সদস্য নিয়ে গড়ে তোলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানরাইটস’ নামের সংগঠন, যা এআরএসপিএইচ নামে বেশি পরিচিত।অন্যদেশের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশি মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গেও গড়ে তোলেন গভীর যোগাযোগ। ধীরে ধীরে মুহিবুল্লাহ হয়ে ওঠেন প্রধান পাঁচ রোহিঙ্গা নেতার একজন।
বিদেশিদের কাছে আগে থেকে পরিচিত হলেও ২০১৭ সালে তিনি বনে যান রোহিঙ্গাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ওই সময় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে তাদের যোগাযোগে ভূমিকা রাখতে থাকেন নিয়মিত।