শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্ক খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ চেয়েছে বাংলাদেশের কাছে। তবে বাংলাদেশে তাদের কোনো অ্যাকাউন্ট না থাকায় নগদ অর্থ সহায়তা নেবে না দেশটি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে তুরস্ক দূতাবাসে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সহায়তা চাওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্কের ১০টি প্রদেশে মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে তুর্কি দূতাবাস এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভূমিকম্পে ছয় হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে বাংলাদেশের সহায়তা চাই আমরা।”
বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, “তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ভূমিকম্প হয়েছে। ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সরকার খুব দ্রুত সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে। এতে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।”
বাংলাদেশ থেকে সহায়তা সামগ্রী নিতে চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমাদেরকে শীতের কাপড়, ওষুধ, শুকনো খাবার ইত্যাদি সহায়তা দিতে পারেন। ঢাকার টার্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকা অফিস এসব সহায়তা নেবে। তারা এসব সামগ্রী তুরস্কে পাঠাবে। তবে ঢাকা অফিস কোনো নগদ অর্থ সহায়তা নেবে না। কেননা এখানে তাদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সে কারণে অর্থ পাঠাতে জটিলতা তৈরি হবে।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্পে ১৩ হাজারের মতো নিহত এবং কমপক্ষে ৬৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা-এএফএডি। দুর্যোগকবলিত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯ হাজার মানুষকে।
এদিকে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সূত্র মতে, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়া মিলে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও এক লাখের বেশি মানুষ।