মে ৯, ২০২২, ১২:৫১ পিএম
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্যই ব্যবসায়ীরা বাজারে সংকট তৈরির কারসাজী করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপুমুন্সি। সকালে (৯ মে) ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী একথা বলেন। সেসময় তেলের দাম বৃদ্ধির কারণসহ সামগ্রিক বিষয়ে কথা বলেন তিনি।’
ভোজ্যতেলের দাম না বাড়ানো এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে অনুরোধের পরও ব্যবসায়ীরা কথা রাখেননি বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করা ভুল ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করেছিলাম। এটাই আমাদের ব্যর্থতা। ‘বিশ্বাস করা ভুল হয়েছে, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমরা শিখেছি মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়।’
ওই সময় মন্ত্রী খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের অনেক ব্যবসায়ী পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছন বলে দাবি করেন, তবে মিল মালিকদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সত্য যতই কঠিন হোক, তা মেনে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধির বাস্তবতা মেনে নিন।’ টিপু মুনশি বলেন, ‘কোথায় কোথায় কারসাজি হয়েছে, কোথায় সমস্যা হয়েছে, তা ইতোমধ্যে চিহ্নিত। চিহ্নিত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দাম অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম ৯৮৫ টাকা। এছাড়া, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা এবং খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারপরও বাজারে তেলের সংকট রয়েছে।
সবশেষ ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা নির্ধারিত ছিল। আর বোতলজাত সয়াবিনের ৫ লিটার তেলের দাম ৭৬০ টাকা ও পাম তেলের দাম ছিল ১১৮ টাকা।