বাজেট ও ঋনের শর্ত বাস্তবায়ন পরিস্থিতি আলোচনা করতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ ডেলিগেশন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৪, ২০২৩, ১০:৫১ পিএম

বাজেট ও ঋনের শর্ত বাস্তবায়ন পরিস্থিতি আলোচনা করতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ ডেলিগেশন

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি বিতরণের আড়াইমাস পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ডেলিগেশন মঙ্গলবার ঢাকায় আসছে শর্ত বাস্তবায়ন পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করতে।

সুত্র জানায়, আইএমএফ আসছে জুনে বাংলাদেশের পরবর্তী বাজেটে আর্থিক খাত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্প সমূহ সম্পর্কেও ধারণা পেতে চায়।

সুত্র আরও জানায়, ঢাকা সফরে আইএমএফে’র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ ৩ থেকে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপত্র মেজবাউল হক দি রিপোর্ট ডট লাইভ কে বলেন, "কাল (মঙ্গলবার) তাদের (আইএমএফ ডেলিগেশন) সাথে মিটিং আছে।"

এদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫শে এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত আইএমএফ মিশন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়, প্রতিটি বাজেট ঘোষণার আগে আইএমএফের একটি মিশন ঢাকায় আসে। সূত্র থেকে আরও জানা যায়, এখন যেহেতু তাদের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি চলছে, তাই বাজেট সহায়তার পাশাপাশি ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসবে।

গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ আইএমএফ এর কাছে ঋণ সহায়তার আবেদন জানালে রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনাপূর্বক একটি রিপোর্ট দেয়।

এরপর আইএমএফ জানুয়ারীতে একটি স্টাফ রিপোর্ট কে রেফারেন্স ধরে বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে।

এর মধ্যে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) এবং এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এর অধীনে প্রায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রেজিলেন্স এন্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি ফর বাংলাদেশ’র অধীনে প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করা হয়।

আইএমএফের দেওয়া শর্তগুলো হলো, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা, আদায়ের অযোগ্য ঋণ বিষয়ে আলাদা কোম্পানি গঠন করা, জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ফর্মুলা কার্যকর করা, আয়কর আইন সংসদে পাস করা, করছাড়ের ওপর বিস্তারিত নিরীক্ষা করা, সাবসিডি হ্রাস ও বাজেটের নির্দিষ্ট অংশ সামাজিক ব্যয়ের (শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা কমূর্সচি) জন্য রাখা এবং ক্রমান্বয়ে তা বাড়ানো।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে  বাংলাদেশ প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার পায়।ঋণের বাকি অর্থ পাওয়া যাবে তিন বছরে অর্থাৎ ছয়টি সমান কিস্তিতে ৩৬ মাসে।সে হিসেবে শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। পরবর্তী কিস্তি প্রতিটির পরিমাণ ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

Link copied!