রায়েরবাজার গণকবর থেকে জুলাইয়ের ১১৪ শহীদের মরদেহ উত্তোলন করা হবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২, ২০২৫, ০২:০৩ পিএম

রায়েরবাজার গণকবর থেকে জুলাইয়ের ১১৪ শহীদের মরদেহ উত্তোলন করা হবে

জুলাই গণআন্দোলনের সময় নিহত অজ্ঞাত ১১৪ জনের মরদেহ শনাক্তের উদ্দেশ্যে শিগগিরই উত্তোলন করা হবে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে থাকা গণকবর থেকে। মরদেহগুলো ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শনিবার ( আগস্ট) সকালে রায়েরবাজার গণকবর পরিদর্শনে গিয়ে তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এর আগে তিনি মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শন করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “শহীদদের পরিবারের সদস্যরা চাইলে নিজেদের পছন্দমতো স্থানে মরদেহ দাফনের সুযোগ পাবেন। আগে তারা মরদেহ উত্তোলনে রাজি না হওয়ায় প্রক্রিয়াটি শুরু করা সম্ভব হয়নি। এখন তারা সম্মতি দিয়েছে, তাই আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।

গণকবর জিয়ারত শেষে তিনি আরও বলেন, “এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অনেক পরিবার এখনো তাদের স্বজনকে শনাক্ত করতে পারেনি। সরকার আগে থেকেই মরদেহ উত্তোলনের উদ্যোগ নিয়েছিল, তবে তখন পরিবারগুলো রাজি ছিল না।

তিনি জানান, সম্প্রতি তিনি উপদেষ্টা আদিলুর রহমান মুন্সিগঞ্জে গিয়ে শহীদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এখন তারা সম্মতি দেওয়ায় মরদেহ শনাক্তের কাজ শুরু করা হবে। প্রতিটি মরদেহ আলাদাভাবে শনাক্ত করা হবে এবং পরিবার চাইলে মরদেহ গ্রহণ করতে পারবে।

রায়েরবাজার কবরস্থানে ১১৪টি মরদেহ এখনো অশনাক্ত অবস্থায় রয়েছে,” বলেন উপদেষ্টা।পরিবারের সম্মতি থাকলে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত ডিএনএ পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হবে।

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “যারা এই গণকবরের পেছনে দায়ী, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ রেহাই পাবে না।

এদিকে মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের গোপন বৈঠক নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো গুপ্ত বৈঠকই আইনশৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না। কোনো ধরনের নাশকতা শক্ত হাতে দমন করা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “দেশকে অস্থির করার যেকোনো ষড়যন্ত্রে যদি কোনো বাহিনীর কেউ জড়িত থাকে, তাহলেও তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কে কোন বাহিনীতে, সেটা দেখা হবে নাজড়িত থাকলেই শাস্তি পাবে।

Link copied!