পেঁয়াজের ঝাঁজে নাজেহাল ক্রেতা, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্য

শামস তারেক আজিজ

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৬:৫১ এএম

পেঁয়াজের ঝাঁজে নাজেহাল ক্রেতা, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্য

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পাইকারী ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামে উর্ধ্বগতি। কারওয়ান বাজারে আজ (শুক্রবার) প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা।

দেশে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। রমজানের এখনও বাকি প্রায় এক মাস, এছাড়াও ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের আকস্মিক দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। অন্যান্য বছরে এই সময়ে পেঁয়াজের দাম শিথিল থাকলেও এবছর ঘটেছে ব্যাতিক্রম। এমনকি সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়ে রাখলেও পাশ্ববর্তী দেশ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে দেশের বাজারে অস্থিতিশীল হয়েছে দাম। দেশি পেঁয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে প্রায় সকল নিত্যপণ্যে দামেই উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তি। যেমন কেজি প্রতি ছোলার দর  ১০০ টাকা, বেসন মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে কিনছেন ক্রেতারা।

চালের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আঠাশ চালের দাম কেজি প্রতি ৫১ টাকা। এছাড়াও চিনিগুড়া চাল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

দেশজুড়ে মুরগির দাম বৃদ্ধির প্রভাব দেখা গিয়েছে রাজধানীতেও। ব্রয়লার জাতের মুরগী প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরে। সোনালী মুরগী ৩১০ টাকা এবং দেশী মুরগীর দাম ৬০০ টাকা পর্যন্ত।

কারওয়ান বাজারে ডজন প্রতি মুরগীর ডিম ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ২৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য দ্রব্যের দাম বাড়লেও কমেছে আলু এবং শীতকালীন নানা সবজির দাম।

রমজানে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪টি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও এর তেমন প্রভাব দেখা যায়নি রাজধানীর বাজারগুলোতে। সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১টাকা কমা বাদে অন্যান্য তিন পন্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Link copied!