আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “এখনকার কূটনীতি হবে অর্থনৈতিক, যে অনুযায়ী বাজার খুঁজতে হবে।”
রোববার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পণ্য রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১-২২ অর্থ বছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোনও একটা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। রপ্তানির জন্য নতুন পণ্য ও বাজার খুঁজে বের করতে হবে। এখনকার কূটনীতি হচ্ছে অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক কূটনীতি।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করেছে বলেই দেশের অর্থনীতি এগিয়েছে। মাত্র ১৫ বছরে আমরা এই যে উন্নতি করতে পারলাম, পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।”
ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কতটা বাড়ল, সেটা খেয়াল রাখতে হবে তাদের। শুধু বিদেশ নয়, দেশের বাজারেও পণ্য বাজারজাত করতে হবে।”
সংসদ নেতা বলেন, “চাহিদার কথা মাথায় রেখে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য উৎপাদন করতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের মাটি, সোনার মাটি। এই মাটি কাজে লাগিয়ে নিজেদের জন্য উৎপাদন করে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। খাদ্যপণ্য, গার্মেন্ট, ডিজিটাল ডিভাইসের মতো নতুন নতুন চাহিদা সম্পন্ন পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিচ্ছি। ২০১০-২০২১ সাল পর্যন্ত যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছিলাম, যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, এটা আমরা অর্জনে সক্ষম হয়েছি।”
এ সময় ২০০১-২০০৮ পর্যন্ত লুটপাট জুলুম হামলা মামলা চলেছে উল্লেখ করে বিএনপি-জামায়াত জোট ও ১/১১’র সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন এবং সমালোচনা করেন সংসদ নেতা। তিনি বলেন, “দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করাই লক্ষ্য বর্তমান সরকারের। সরকারে প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে ৫৮ জেলা ভূমিহীন গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।”