এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০৪:৪৭ পিএম
আবারো দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেন্জ (ডিএসই) এ লেনদেন টাকার অংকে ৯'শ কোটির ঘর অতিক্রম করলো।সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯শ ৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
ফ্লোর প্রাইসের জালে দীর্ঘদিন ধরে শেয়ার বাজার আটকে থাকার ফলে অনেকটা ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিলো। ঈঁদের আগের কার্যদিবসেও লেনদেন ছিলো ৫শ কোটি'র ঘরে। ঈঁদের ছুটির পর অনেকটা হঠাৎ করেই যেনো লেনদেনে সুবাতাস শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার লেনদেন ৭শ কোটির ঘরে পৌছে, এবং পরদিন বুধবার আগেরদিনের তুলনায় ৫২ কোটি টাকা বেশী লেনদেন হয়। বৃহস্পতিবার লেনদেনের পরিমাণ ২শ ২ কোটি টাকা বেড়ে পৌছে ৯শ ৬৭ কোটি টাকায়।
শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টরা এ লেনদেন বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ দেখছেন না। তবে আগামী দিনগুলোতে বাজারে ভিন্ন ভিন্ন তহবিল আসার সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগকারীরা কেনাবেচা করছে বলে ধারনা করছেন। কেউ কেউ বলছেন সামনে জাতীয় নির্বাচন বিধায় বাজার নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া সামনে জুন মাসে পরবর্তী বাজেট নিয়েও সরকারের কাছে শেয়ার বাজার সম্পর্কিত আশাব্যান্জক ধারনা থেকেও কেনা বেচা বাড়তে পারে বলে অনেকে মত দিয়েছেন।
বিগত এক বছর ধরে শেয়ার বাজার নিয়ে হতাশায় ভূগছিলেন বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন ছিলো ঢিলেঢালা। এছাড়া ফ্লোর প্রাইসের জালে আটকে ছিলো শেয়ারদর।
এবছরের ১৮ জানুয়ারি একবার ডিএসইতে ৯৩৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এরপর আবারো লেনদেনের পরিমাণ পড়ে যায় আশংকাজনকভাবে।
ডিএসই'র বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক আগেরদিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে।
বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকায়। আগেরদিন এর পরিমান ছিলো ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার দেশের অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। আজ সিএসইতে ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।