বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র শুল্কছাড় আলোচনা: কিছু বিষয়ে অমীমাংসিত, বৈঠক হবে আবার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১২, ২০২৫, ০১:৪০ পিএম

বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র শুল্কছাড় আলোচনা: কিছু বিষয়ে অমীমাংসিত, বৈঠক হবে আবার

যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কছাড় নিয়ে দ্বিতীয় দফার আলোচনার তৃতীয় দিনের বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্কছাড় সংক্রান্ত দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনার পর বেশ কয়েকটি বিষয়ে মতৈক্য হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ফলে আলোচনা আবারও শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সরকারি বার্তায় জানানো হয়েছে, তিন দিনের আলোচনায় আংশিক অগ্রগতি হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

কিছু বিষয়ে একমত হতে না পারায় দুই দেশ নিজেদের অভ্যন্তরীণভাবে আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা করবে এবং তারপর আবার বৈঠকে বসবে। পরবর্তী আলোচনা সরাসরি ভার্চুয়ালউভয় প্রক্রিয়ায় হতে পারে, এবং এর সময়সূচি শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আলোচনা শেষে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি ইতিবাচক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়্যব, এবং সরকারের বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিশেষজ্ঞ।

আলোচনার প্রেক্ষাপট তৈরি হয় গত এপ্রিল মাসে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫৭টি দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যার মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শুল্কহার নির্ধারিত হয় ৩৭ শতাংশ।

এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ওই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়, যার মেয়াদ ছিল জুলাই পর্যন্ত।

তবে, জুলাইস্থগিতাদেশ শেষ হওয়ার ঠিক দুই দিন আগেযুক্তরাষ্ট্র আরও ১৪টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করে, যেখানে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। এর পরপরই ১০ জুলাই থেকে তিন দিনের এই দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, আলোচনা দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবেশাধিকার ব্যাহত না করে একটি বাস্তবসম্মত সমাধানে পৌঁছাবে।

Link copied!