জুলাই ১২, ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
জুলাই গণহত্যা মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
শনিবার (১২ জুলাই) বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, মামুন যদি তাঁর ও তাঁর সঙ্গীদের অপরাধ সম্পর্কে ট্রাইব্যুনালে বিস্তারিত ও সৎভাবে তথ্য তুলে ধরেন, তাহলে তাকে ক্ষমা করা যেতে পারে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, “চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করা হলো এই মর্মে যে, তিনি নিজ এবং অন্য অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতা ও অভিযোগগুলোর বিস্তারিত তথ্য ট্রাইব্যুনালের কাছে তুলে ধরবেন এবং ট্রাইব্যুনালের চাহিদা অনুযায়ী সাক্ষ্য দেবেন।” মামুন এসব শর্ত মেনে ক্ষমা গ্রহণ করেছেন।
সাক্ষী হিসেবে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদেশে কারা কর্তৃপক্ষকে মামুনকে অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদাভাবে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ জুলাই মামলার অভিযোগ গঠনের সময় ট্রাইব্যুনালের সামনে দাঁড়িয়ে মামুন বলেন, “জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় আমাদের বিরুদ্ধে যে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য। আমি নিজেকে দোষী মেনে নিচ্ছি এবং রাজসাক্ষী হয়ে এই অপরাধগুলোর সত্যতা ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরতে চাই। আদালতের রহস্য উদঘাটনে সহযোগিতা করতে চাই।”
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মামুনের দোষ স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে।
সেদিনই এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।