জুলাই ১২, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ডের মামলার এজাহারে পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না।
তিনি দাবি করেন, নিহতের পরিবার যে তিনজনের নাম এজাহারে দিয়েছিল, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে তিনজনের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মোনায়েম মুন্না বলেন, “ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, অথচ এটি শুক্রবার প্রচারিত হয়েছে। কেন এতদিন পর প্রচার হলো, কারা এর পেছনে—তা খুঁজে দেখা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “পরিবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যাদের নাম মামলায় দেয়া হয়েছিল, তারা বাদ পড়েছে। অথচ সিসিটিভি ফুটেজে যাদের স্পষ্টভাবে দেখা গেছে, তাদের প্রধান আসামি করা হয়নি। যারা সরাসরি প্রাণঘাতী হামলায় অংশ নিয়েছে, তারা এখনও ধরা পড়েনি—এটা রহস্যজনক।”
তিনি বলেন, ঘটনার ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও মূল আসামিদের গ্রেপ্তার না করাটা প্রশ্নবিদ্ধ।
সংগঠনের দায় স্বীকার করে মোনায়েম মুন্না বলেন, “আমরা দায় এড়াইনি। তথ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। শুধু গতকালই ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত এক বছরে হাজারো নেতা–কর্মীকে বহিষ্কার করেছি। কিন্তু প্রশাসন কি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে? যদি না নিয়ে থাকে, তবে কেন নেয়নি?”
তিনি দাবি করেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। “গতকাল খুলনায় যুবদলের বহিষ্কৃত এক নেতাকে গুলি করে রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। চাঁদপুরে এক ইমামের ওপর খুতবা দেওয়ার সময় হামলা হয়েছে। এটি একটি গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের সহিংস রাজনৈতিক চর্চার অংশ।”
তিনি আরও বলেন, “একটি রাজনৈতিক সুবিধাভোগী গোষ্ঠী এখন বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেছে বেছে প্রতিবাদ করছে, বিবৃতি দিচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম. জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।