মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসাথে তিনি মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণও খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশবাসী মূল্যস্ফীতি ও লোডশেডিং নিয়ে অনেক কষ্টে আছে। এ কষ্ট লাঘব করতে মূল্যস্ফীতি ও লোডশেডিং নিরসনে কৌশল নিতে হবে।
এনইসি বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও অনুশাসন তুলে ধরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, "প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতেই হবে। প্রথম উদ্দেশ্য আর যেন এটি না বাড়ে। যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। বাজারে সরবরাহ বাড়াতে হবে। আমদানী বা অভ্যন্তরীন উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশব্যাপী বিভিন্ন পয়েন্টে নিত্যপণ্যের স্টক বাড়াতে হবে। সংবেদনশীল আইটেম যেগুলো রাতারাতি দাম বেড়ে যায় সেগুলোর স্টক বাড়াতে হবে। টিসিবিকে আরও জোরালো করতে হবে।"
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শুধু ঢাকায় নয় প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় সংবেদনশীল পণ্যের স্টক বাড়ানোর কথাও বলেছেন। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ যা আছে সবকিছুর স্টক বাড়াতে হবে। এসব কৌশল দ্রুত নিতে হবে।
তিনি জানান, মূল্যস্ফীতি কেন বাড়ছে তা গবেষণা করে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশও দিয়েছেন সরকারপ্রধান।