ঢাবির পানিতে ‘মল-মূত্রের জীবাণু’ পাওয়ার দাবি শিক্ষার্থীর, কী বলছে প্রশাসন

সালমান ইবনে সাঈদ শাওন, ঢাবি প্রতিনিধি

জুলাই ২৯, ২০২৫, ০১:৩১ পিএম

ঢাবির পানিতে ‘মল-মূত্রের জীবাণু’ পাওয়ার দাবি শিক্ষার্থীর, কী বলছে প্রশাসন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের পানি পরীক্ষা করার পর পানিতে কলিফর্মের (মল-মূত্রের জীবাণু) উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) এর যুগ্ম সদস্যসচিব শাহারিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন।

শাহারিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিনের দাবি, তিনি একক প্রচেষ্টায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে পানি সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করেন এবং এতে কলিফর্মের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

এ নিয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে তিনি রিপোর্টটি প্রকাশ করেন। সেসময় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। সম্প্রতি ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-ভিত্তিক গ্রুপ, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ” এ রিপোর্টটি নিয়ে আবারো শুরু হয়েছে আলোচনা। অনেকে জানতে চেয়েছেন, এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।

এর প্রেক্ষিতে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ কথা বলেন শাহারিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে।

ইয়ামিন দ্যা রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “গত বছর আমি নিজস্ব প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের পানি সংগ্রহ করি শুধুমাত্র এটা জানার জন্য যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি পান করার উপযুক্ত কিনা। সেই স্যাম্পলগুলো কালেক্ট করে আমি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কেন্দ্রীয় ল্যাবে পরীক্ষা করাতে পাঠাই। পরবর্তীতে ২৪ সালের ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে ল্যাব থেকে রিপোর্ট আসে। যেখানে বলা হয় প্রায় সব জায়গার পানিতেই মল-মূত্রের জীবাণু অর্থাৎ কলিফর্মের উপস্থিতি রয়েছে।”

পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে তিনি জানতে পারেন, “কার্জন হল সংলগ্ন এরিয়ার পানিতে ৬ মাত্রার কলিফর্মের উপস্থিতি, কলাভবন সংলগ্ন স্যাডোতে ২, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ৮, জগন্নাথ হলে ১০, ও কবি জসীমউদ্দীন হলের পানিতে সর্বোচ্চ ১৪ মাত্রার কলিফর্মের উপস্থিতি রয়েছে।”

বিষয়টি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, “নিউজটি সম্পর্কে তারা অবগত ছিল এবং পরবর্তীতে জসীমউদ্দীন হল কর্তৃপক্ষ শুনেছিলাম যে পানি নিয়ে কিছু কাজ করেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কেউ এই সময় আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। আর এটি একটি ব্যয়বহুল পরীক্ষা যা একজনের পক্ষে করা সম্ভব হয়না। আমার ধারণা এখন কলিফর্মের মাত্রা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্যা রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “এটাতো অনেক পুরনো রিপোর্ট, এটা সম্পর্কে আমি সেভাবে অবগত নই। কিন্তু কিছু কাজ করা হয়েছে যেটা আমি জানি, কিছু পাইপ ফেটে এমনটা হয়েছিল। কিছু পাইপ বদল করা হয়েছে যতদূর আমি শুনেছি। এ ছাড়া আরও কিছু কাজ করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আক্রাম হোসেন বলেন, “এটাতো আসলে অনেক আগের ঘটনা এই মুহূর্তে আমার ঠিক স্মরণে নেই আমরা কোন পদক্ষেপ নিয়েছিলাম কিনা, আর এমন কোন ঘটনা হয়েছিল বলেও আমার জানা নেই।”

Link copied!