সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
নতুন বছরের জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই ‘পৌছে যাবে’ বলে আশার কথা শুনিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এ জন্য এবারে আর দেরি না করে চলতি মাস থেকে বই ছাপানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি কথা বলছিরেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নতুন বই ১ জানুয়ারিতে আমাদের দেওয়ার কথা। কতগুলো আমরা ইতিমধ্যে অর্ডার দিয়েছি। তবে আমরা আরো ভালোভাবে যাচাই করার জন্য আজকে বলেছি।”
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছর বই ছাপানোর অর্ডার দেওয়া হয়েছিল নভেম্বরে। এবার শিক্ষার্থীরা যাতে জানুয়ারিতেই নতুন বই পায়, সেজন্য সেপ্টেম্বরে অর্ডার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“ইতোমধ্যে কিছু অর্ডার দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে বাকিগুলো সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দেওয়া হবে।”
বই ছাপানোর ক্ষেত্রে অনিয়ম ঠেকাতে আরো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এর আগে যারা যারা পেয়েছিল তাদের বইয়ের মান কেমন ছিল, কাগজ কি ছিল এবং কারা একাধিক পাচ্ছে, মনোপলি হচ্ছে কি না, আমরা আমরা এগুলো খতিয়ে দেখব। সে কারণে লিস্ট থেকে আরেকটু যাচাই-বাছাই করব। আজকে বই কেনার যে প্রস্তাব ছিল সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “অনিয়মের সংবাদ আমরা মাঝেমধ্যে পাই, ঠিকমতো করে না। আর একজন একটা অর্ডার নিয়ে বাকিগুলো নিয়ে নিয়েছে, সে ধরনের কিছু কিছু অভিযোগ আছে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলো আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করতে বলেছি।”
কোন কোন প্রতিষ্ঠান দিয়ে বই ছাপানো হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত কবে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এ মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে নিয়ে আসুক।”
২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। সব না হলেও কিছু বই বছরের প্রথম দিনই উঠত শিক্ষার্থীদের হাতে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ভারত উড়ে যান। অন্তর্বর্তী সরকার বিগত সরকারের আমলে প্রবর্তিত নতুন শিক্ষাক্রম ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ বলে বাতিলের ঘোষণা দেয়। ফলে গেল বছরের শেষাংশে এসে চলতি বছরের জন্য এক যুগ আগের ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের বই ‘ঘষে-মেজে’ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ওই বইগুলোর ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’, ইতিহাসের ‘বিকৃতি’, ‘ব্যক্তি তোষণ’সহ কিছু বিষয় সংশোধন ও পরিমার্জনে অনেকটা সময় চলে যাওয়ায় প্রেসে তা পাঠাতেই চার মাস দেরি হয়ে যায়।
ফলে বছরের কয়েক মাস পেরিয়েও সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নবম-দশম শ্রেণির বেশ কিছু বিনমূল্যের বই কেনার প্রস্তাব করলেও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত বৈঠকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ইপিআই টিকা কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।