এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বিগত কয়েক বছর ধরে পাশের হারে ছেলেরা কেন পিছিয়ে থাকছে সেটা জানার জন্য বিবিএসকে (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ মে) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তরের পর তিনি বলেন, “বিবিএসকে বলতে পারি জরিপের সময় এটা (ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ) জানার চেষ্টা করতে।”
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর
ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কারণটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, ছাত্র সংখ্যা কেন কম। কী কারণে ছাত্র কমে যাচ্ছে। পাশের হারের ক্ষেত্রেও অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা এগিয়ে। সেটা খুব ভালো কথা। কিন্তু তারপরও আমি বলবো এই বিষয়টায় আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি, বৃত্তি দিচ্ছি। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি।”
এইচএসসি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সাক্ষরতার হার বেড়েছে। শিক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। মেয়েদের হার অনেক বেড়েছে। প্রাথমিকে একসময় ৫৪ শতাংশ ছাত্রী যেত, এখন ৯৮ শতাংশ মেয়ে স্কুলে যায়। আর এখানে (এসএসসির ফল) ফলাফল দেখে আমি হিসাব করছিলাম, সব বোর্ডে আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত। মাত্র তিনটা বোর্ডে ছাত্রের সংখ্যা একটু বেশি। অধিকাংশ জায়গায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। এটা একদিকে খুশির খবর। কারণ নারী শিক্ষার ওপর আমরা বেশি জোর দিয়েছি।”
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “এবার আমরা দেখতে পাচ্ছি ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট শিক্ষার্থী ২০ লাখ ৩৮ হাজার ১৫০ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ জন। আর ছাত্রী সংখ্যা ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৬ জন।”
তিনি আরও বলেন, “এমনও সময় গেছে যখন মাসের পর মাস গেছে, ছেলেমেয়ের রেজাল্ট পায়নি। আমরা ৬০ দিনের মধ্যে তা দিতে পেরেছি। স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে, শিক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। তারপরও আমরা বলবো, ছড়িয়ে ছিটিয়ে যারা বাকি আছে তাদের স্কুলে পাঠানো আমাদের দায়িত্ব।”
সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর সকাল ১০টা ৫৬ মিনিটে ফল ঘোষণা করেন তিনি।