জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৮:৫৩ পিএম
শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যার প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও সশরীরে উপস্থিতি কমাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল সম্মেলনকে সামনে রেখে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে। ২১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১৮টি হলে শারীরিকভাবে মতবিনিময় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল এবং তা এখন চলছে।
বিভিন্ন কর্মীসভা পরিদর্শন করে দেখা যায় যে গড়ে ৫ শতাধিক কর্মী সামাজিক দূরত্ব এবং কিছু অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় না রেখে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। আগামী ৩০ জানুয়ারি কাউন্সিলকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আজ একাধিক উপ-কমিটি ঘোষণা করেছে।
রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় আপত্তি
স্যার এএফ রহমান হলের প্রভোস্ট কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ এড়াতে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ছাত্র সংগঠন হিসেবে প্রত্যেকের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অনলাইনে ক্লাস চলছে, এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত নয়।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ডাঃ জাকিয়া পারভীন বলেন, আমরা তাদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বলেছি এবং আমরা অনুষ্ঠানটি পর্যবেক্ষণ করেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, হলগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত তাই স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে যেকোনো কিছু করা যেতে পারে। তিনি অনুরোধ করেন, প্রতিটি হলে আমাদের একটি প্রশাসন আছে, যদি আপনার কোনো পর্যবেক্ষণ থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান।
যথাযথ মন্তব্যে আপত্তি
আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নিজেদের স্বার্থে প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হবে। এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।