নবাবী আমলে ঢাকায় ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হতো ঈদের। রাজপথ পদদলিত হতো ঈদের মিছিলে। বিভিন্ন স্থানে মেলা, রেসকোর্সে ঘোড়াদৌড় আর মুখরোচক খাবারের গন্ধে মৌ মৌ করত চারপাশ।
অতীতের মতো জাঁকজমকপূর্ণ ঈদ আয়োজন আর চোখে পড়ে না বললেই চলে, চোখ ধাঁধানো, মন জুড়ানো সেই সব আয়োজন এখন আর দেখা যায় না।
তবে ঈদ আয়োজনের কিছু ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। তারা পরিবার, আত্মীয়স্বজন, এমনকি বংশপরম্পরায় বাস করছেন সেখানে। ঈদে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাওয়া-আসা, ঐতিহ্যবাহী ও মুখরোচক খাবারের সঙ্গে মেহমানদারি ও গানবাজনায় বেশ আড়ম্বরভাবে ঈদ পালন করেন ‘পুরান ঢাকাইয়ারা’।
পুরান ঢাকার ঈদ আয়োজনটা নতুন ঢাকার চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। বিভিন্ন মুখরোচক খাবার ছাড়াও বড় পার্থক্য হচ্ছে, পুরান ঢাকার মানুষরা তাদের আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঈদ করেন।
প্রতিবছর পুরান ঢাকার চকবাজারের মেলার আয়োজন থাকে। মেলায় মনোহারি পণ্য বিক্রি কিনি চলে। থাকে নানা ধরনের মুখরোচক খাবার, এ ছাড়া চরকিতে চড়ে আনন্দ উপভোগ অন্যতম।
এবারো তার ব্যতিক্রম নয় বৈরী আবহাওয়া কিংবা বৃষ্টি কিছুটা বাধা হলেও এবারও মেলা বসেছে পুরান ঢাকার চকবাজারে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অনান্য ঈদের মতো জমজমাট না হলেও মেলায় ঘুরতে এসেছেন অনেকেই।
চকবাজারের খেলনা বিক্রেতা মোরশেদ দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, প্রতিবছর এখানে খেলনার দোকান করি তবে বৃষ্টির জন্য আর সেরকম ব্যবসা হয়নি, তবুও চলছে।
মেলায় ৬ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে আসা সানী বলেন, বৃষ্টি এবং পানি উপেক্ষা করেই ছেলেকে নিয়ে মেলায় এসেছি, মাসের বড়া কিনবো বাসার জন্য যেটা ঐতিহ্যবাহী আর ছেলের জন্য খেলনা।
মাসের বড়া বিক্রেতা জানান, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার মাসের বড়া এটির খুব চাহিদা কিন্তু এবার মেলায় তেমন লোক না থাকায় বেচাকেনা অনেকটাই কম।
থেমে থেমে বৃষ্টি চকবাজারের বিভিন্ন স্থানে পানি জমার কারণে অনেকেই এবার আসতে পারেননি ঐতিহ্যবাহী এই মেলায়।