আগস্ট ২৭, ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম
‘আমরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আনস্মার্ট পদ্ধতি ব্যবহার করছি। সিটি কর্পোরেশন ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করছে, সেগুলো বাস্তবসম্ভব না। আমাদের স্মার্ট পদ্ধতিতে করতে হবে। কেন না এডিস মশার ডিম ৭ মাস থাকে। তাই সিজন আসলেই লোক দেখানো কাজ করলে সেটা সম্ভব না।’ ডেঙ্গু মোকাবিলায় গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আহমেদুল কবির।
রবিবার (২৭ আগস্ট) ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গোল টেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়।
এ বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. বারদান জং রানা বলেন, ডেঙ্গু মশার ভ্যাক্সিন এখনও ট্রায়াল পর্যায়ে আছে। তাই সহসাই এই ভ্যাক্সিন পাবেন না। এখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে কাজ করা প্রয়োজন সেগুলোতে জোর দিতে হবে। এদিকে সারাবছরই এই কার্যক্রম না চালিয়ে শুধু বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর কার্যকলাপ চোখে পড়ে। এদিকে যারা নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে তারা প্রশিক্ষিত নয়। তাই এদেরও এর আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক বলেন, সবাই একসাথে মিলে কাজ করছি। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমরা কোন ঘাটতি রাখিনি। অবে পরিবার থেকেও সচেতনতা দরকার।
ভুল পদ্ধতিতে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হচ্ছে মন্তব্য করে নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, শহরের মশা ও গ্রামের মশা এক নয়। তবে এগুলো পুরোপুরি উপেক্ষা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে।
এ গোলটেবিল বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কারখানা এলাকা ও আশেপাশের বর্জ্য ও ভবনগুলো পানি জমতে না দেয়ার প্রতিশ্রুতি জানানো হয়।