ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম ‘বাসি’ রুটি

সানজিদা হোসেন

জানুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম ‘বাসি’ রুটি

সংগৃহীত ছবি

আপনার ডাইনিং টেবিলেই আছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার মহৌষধ। জানেন কি! বাসি রুটি খেলে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে। শুনতে অবাক মনে হলেও, চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাসি রুটির জুড়ি নেই। 

টাটকা গরম রুটির তুলনায় বাসি রুটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলক কম থাকে। আগের দিন ভেজে রাখা রুটি ফ্রিজে রাখলে ফ্রিজের তাপমাত্রায় ঠান্ডা হয়ে যায়। পুনরায় খাওয়ার আগে তা গরম করা হয়। সব মিলিয়ে ঠান্ডা-গরমের মিশ্রণে রুটির কার্বোহাইড্রেটের গঠন বদলে যায়। যা চিনিতে পরিণত হতে বেশি সময় লাগে। ফলে সকালবেলা হুট করে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে না গিয়েই রুটির হজম-প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।

এছাড়াও বাসি রুটির স্টার্চ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাতারাতি বৃদ্ধি করে, যা রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, হাঁপানি, অ্যাজমা, পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদ হজম এমনি স্ট্রোকের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে এই আটার বাসি রুটি। ওজন কমাতেও জাদুর মতো কাজ করে বাসি রুটি।

টাটকা খাবারের চেয়ে অনেকটা বেশি স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে এই বাসি রুটিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসি রুটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। এতে ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিনের পরিমাণ বেশি থাকে।
আমরা "মাছে ভাতে বাঙালি" হলেও, ভাতের পরই বাঙালি যে খাবারটির সঙ্গে বেশি পরিচিত তা হলো আটার রুটি। কিন্তু এ রুটি কি বাসি খাওয়া ঠিক?

পুষ্টিবিদরা বলছেন, বাসি রুটি শরীরের নানা অসুখ মোকাবিলা করতে পারে। একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাসি রুটি বিশেষ কিছু জটিল রোগের সমস্যা কমাতে দারুন কাজের।

যাদের উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন সকালে দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খান। এতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

বাসি রুটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। বাসি  রুটির মধ্যে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়ায়। তাই এটি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সে সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ও কমে যায়। এছাড়া বাসি রুটি  পাকস্থলী ওপরও চাপ কম ফেলে।

অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, বাসি রুটি এত রোগের সমস্যা করছে? তাহলে এর পুষ্টিগুণে কি কোনো হেরফের আছে?

আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, টাটকা রুটিতে যে পুষ্টি রয়েছে, বাসি রুটিতেও প্রায় একই পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। সামান্য দুই–একটা ভিটামিনের পুষ্টিগুণ এদিক–সেদিক হলেও বাকি সব প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন, আয়রন, ফাইবারের পরিমাণ একই থাকে।

এত রোগের সমস্যার সুন্দর সমাধান হতে পারে বাসি রুটি। তবে একদিনের বেশি পুরনো বাসি রুটি না খাওয়াই ভালো। 

চলুন খাওয়ার জন্য বেঁচে থাকার চেষ্টা না করে, বেঁচে থাকার জন্য পরিকল্পনামাফিক খাবার গ্রহণ করি।

Link copied!