দেশে অনেক ঔষধ তৈরি হলেও মেডিকেল ডিভাইস দেশে তৈরি হয় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ইউএনবি

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম

দেশে অনেক ঔষধ তৈরি হলেও মেডিকেল ডিভাইস দেশে তৈরি হয় না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আমরা দেশে অনেক ঔষধ তৈরি করি, কিন্তু মেডিকেল ডিভাইস দেশে তৈরি হয় না।

বৃহস্পতিবার(২৯ ফেব্রুয়ারি) পূর্বাচলে চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে জিপিই এক্সপো (প্রা.) লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির আয়োজনে ১৫তম এশিয়া ফার্মা এক্সপো ও এশিয়া ল্যাব এক্সপো-২০২৪ -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হার্টের অপারেশন করতে বা রিং বসাতে স্টেন্টিং দরকার হয়। প্লাস্টিক সার্জারির ক্ষেত্রে টিস্যু দরকার হয়। যা দেশের বাইরে থেকে আনলে অনেক দাম পড়ে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে। একটা রিং পরানো বা ভালব রিপ্লেসমেন্টে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়।

দেশে মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

ঔষধের দাম কমাতে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ডায়াবেটিস ও হার্টের ঔষধের দাম কমালে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, আমি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হবো কোনদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি তৃণমূল থেকে কাজ করে আজ এই পর্যায়ে এসেছি। স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাহলে সাধারণ মানুষকে সহজলভ্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাবে। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুন্দর ও সহজলভ্য হলে সাধারণ মানুষের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর আস্থা ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঔষধ বিশ্বব্যাপী গুণগতমান ও নিরাপত্তার দিক দিয়ে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ঔষধকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার পর দেশের ঔষধ শিল্পে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। বাংলাদেশ ৯৮ ভাগ ঔষধধের নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের ১৫৭টি দেশে রপ্তানি করছে।

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির প্রেসিডেন্ট আব্দুল মুক্তাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম হাসান ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।

‘এন ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন অন কমপ্লিট ফার্ম ম্যানুফাকচারিং’ শিরোনামে ১৫তম এশিয়া ফার্মা এক্সপোতে ৩৬টি দেশের ৭৫১ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি তাদের পণ্য প্রদর্শন ও সেবার মান তুলে ধরছে। এক্সপো চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত। এ এক্সিবিশিনে দেশ ও বিদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করছেন।

Link copied!