করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এসেনশিয়াল ড্রাগসের মাধ্যমে করোনার টিকা উৎপাদনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
মঙ্গলবার ( ১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সরকারিভাবে করোনা টিকা উৎপাদনের এই সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে শেখ ফজলুল করিম সেলিম গণমাধ্যমে বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে জোরালোভাবে বলেছি যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসেনশিয়াল ড্রাগসের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করতে হবে।টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) চুক্তি করার জন্যও বলেছি আমরা।’
এসেনশিয়াল ড্রাগসের কিছু অবকাঠামো এবং নতুন কিছু যন্ত্রপাতি কিনলে টিকা উৎপাদন সম্ভব হবে বলেও জানান সংসদীয় কমিটির এই সভাপতি।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে ভারতের ওষ্ষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশ। দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দিলে দেশে টিকার সংকট দেখা দেয়।
দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর পর্যাপ্ত টিকার অভাবে গত ২৫ এপ্রিল টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।পরবর্তীতে চীনসহ নানা উৎস থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা আনার চেষ্টা চালায় সরকার। চীনের তৈরি সিনোফার্মের সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা কিনবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরই মধ্যে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার বিষয়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া, দেশে করোনা টিকা উৎপাদনের জন্য সোমবার (১৬ আগস্ট) চীনের সিনোফার্ম এবং বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ও সরকারের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়।