ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি বদিউর রহমান মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
বুধবার গভীররাতে ঢাকার হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
তিনি জানান, প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
১৯৪৭ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণকারী বদিউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ১৯৬৮ সালে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। সরকারি কলেজে অধ্যাপনা শেষে তিনি ২০০৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
গবেষণা, অনুবাদ ও সম্পাদনায় অধ্যাপক বদিউরের অর্ধশতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- ‘সাহিত্য স্বরূপ’, ‘সাহিত্য সংজ্ঞা অভিধান’, ‘ধ্রুপদী সাহিত্যতত্ত্ব’, ‘বাংলার চারণ মুকুন্দদাস’, ‘সত্যেন সমীক্ষণ’, ‘দ্য প্রিন্স’, ‘গণনাট্য’, ‘উপন্যাস ও জনগণ’, ‘সত্যেন সেন রচনাবলি’ (৯ খণ্ড, বাংলা একাডেমি, ঢাকা), ‘রবীন্দ্রনাথের অনুবাদ কবিতা’ এবং ‘নজরুল অভিভাষণ ও পত্রাবলি’।
বদিউর রহমান আশির দশক থেকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে তিনি উদীচীর সহ-সভাপতির দায়িত্বে আসেন। ২০২২ সালের জুনে উদীচীর ২২তম জাতীয় সম্মেলনে তিনি সভাপতি পদে নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পদেই বহাল ছিলেন।
১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গান-নাচ-কবিতা-নাটক-চলচ্চিত্রের মতো সৃজনশীল মাধ্যমকে হাতিয়ার করে সমাজের নানা অসঙ্গতি, শোষণ-বঞ্চনা-অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছে উদীচী।
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রতি দুই বছর পরপর জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করে উদীচী।
তবে জীবনের শেষভাগে বদিউর রহমানকে কিছুটা তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, ‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে’ উদীচীতেও ভাঙন দেখা দেয়।