আসছে ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অমর একুশে বইমেলা সংশ্লিষ্টদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা যথাসময়ে গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এই অনুরোধ জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র আরও বলেন, “আশা করছি বইমেলা শুরু হবে, যেহেতু বিপুল লোক সমাগম হবে, স্টলগুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন এবং মেলা সংশ্লিষ্ট যারা থাকবেন, তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, যাদের প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার এসএমএস এসেছে, তারা যেন যথাসময়ে টিকাটি নিয়ে নেন।”
অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, “,যাদের বুস্টার ডোজের সময় হয়েছে এবং এসএমএস এসেছে, তারা যেন দ্রুততম সময়ে সেটিও নিয়ে নেন। এ ছাড়া বইমেলায় অবশ্যই টিকা গ্রহণের যে সনদটি রয়েছে, সেটি যেন দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শন করা যায়।” এটি অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে বলেও তিনি জানান।
নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরিধান করাসহ যেসব স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, সেগুলো মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরও বলেন, “গেল দুদিনে আমরা দেখেছি সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা আছে, তবে এটি আসলেই নিম্নমুখী কি না, তা বলার সময় এখনও হয়নি। এ সময়টাতে আমরা যেন আত্মতুষ্টিতে না ভুগি। আমরা যেন আরও বেশি দায়িত্বের পরিচয় দিই।”
বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও নাক মুখ ঢেকে মাস্ক পরিধান করতে হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, “বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হচ্ছে, সেখানেও আমরা সবার প্রতি আবেদন রাখতে চাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।”
অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, “টিকার পাশাপাশি করোনাকালে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের আবিষ্কার হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেগুলো উৎপাদন হচ্ছে, বাংলাদেশেও ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো। কিন্তু আমরা আপনাদের মাধ্যমে আমাদের চিকিৎসকসহ বন্ধুদের কাছে আমরা আবেদন রাখতে চাই, সুনির্দিষ্ট লক্ষণ ও নির্দেশনা ছাড়া কোনো অবস্থাতেই যেন এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা না হয়, কোনো অবস্থাতেই যেন এসবের অপব্যবহার না করা হয়।”