বেটা
নভেম্বর ১৮, ২০২১, ০৭:৪৭ পিএম
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থমন্ত্রী ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার(১৮ নভেম্বর) রাজধানীতে বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতদিন একটি কেন্দ্রে আশপাশের অন্তত পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল। এতে শিক্ষার্থীদের টিকাদানে সমস্যা হচ্ছিল। এবার স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
করোনা মহামারি ঠেকাতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের টিকাদান শুরুর আট মাস পর গত অক্টোবরে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু করে সরকার। কিন্তু একটি কেন্দ্রে আশেপাশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকাদানে সমস্যা হচ্ছিল জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব স্কুলে করোনাভাইরাসের টিকাদান কেন্দ্র নাই, আমরা কেন্দ্র করতে পারিনি, ওই স্কুলে আমাদের টিম চলে যাবে, সেখানে টিকা দেবে।’ স্কুলের শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাই দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
ফাইজারের টিকা হিমাঙ্কের নিচে ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হয় এই টিকা সবগুলো স্কুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছি। এটা একটা চ্যালঞ্জ, আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। আমাদের স্কুলের শিশুদের টিকা দিতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, আমরা নেব।’
সরকার সিনোভ্যাকের ৭ কোটি ডোজের বেশি টিকা কিনছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘চীনের এই টিকা এই মাসেই আসা শুরু হতে পারে। আমরা এখনও শিডিউল পাইনি। আশা করছি, এ মাসের শেষে আসতে পারে, আগামী মাসেও আসতে পারে।’
অনুষ্ঠানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলমসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
