দেশে পাঁচ থেকে বার বছর বয়সী শিশুদের জন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেশে পৌঁছেছে এবং শিগগিরই শিশুদের সেগুলো দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাহিদ মালেক বলেন, “এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেয়েছি, শিশুদের জন্য উপযোগী টিকাও হাতে এসেছে। শিগগিরই তাদের টিকা দেওয়া শুরু হবে।”
টিকা নিতে শিশুদের (সুরক্ষা অ্যাপে) নিবন্ধন করা লাগবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “যেসব শিশু এখনও নিবন্ধন করেনি, তারা যেন দ্রুত নিবন্ধন করে নেয়।“ শিশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় টিকা দিতে সময় লাগবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, “সংক্রমণ বাড়ছে, প্রাণহানি শূন্য থেকে এখন নিয়মিত ঘটছে। তাই টেস্টের (পরীক্ষা) সংখ্যা বাড়াতে হবে। অফিস আদালতে যারা যান, তাদের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করছি।”
দেশে চিকিৎসা এগিয়ে থাকলেও গবেষণায় পিছিয়ে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “চিকিৎসকদের সেবার পাশাপাশি এতেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগের মতো এ বছরও ১০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে এই খাতে। দেশেই বাইপাস, ট্রান্সপ্লান্ট সব হচ্ছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন (টিকা) তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।”
তিনি বলেন, “গবেষণা আরও এগিয়ে যাক আমরা সেটাই চাই। ভালো মানের গবেষণা বিএসএমএমইউতে হোক এটাই আমাদের চাওয়া।”
প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল সোমবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিতে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করা লাগবে।
তিনি বলেন, “যাদের জন্ম নিবন্ধন নেই, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে করে নিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”