আগস্ট ২৯, ২০২১, ০২:২৩ পিএম
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাপ্রত্যাহার ও শরণার্থী সরিয়ে নেওয়ার ডামাডোলে বৈঠকটি নির্ধারিত সময়ের একদিন পরে অনুষ্ঠিত হয়।
আলাপকালে বাইডেন-বেনেট ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন। বাইডেন বলেন, ইরান যেনো কখনোই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার নিয়ে কথা বলেছি আমরা। তবে সবার আগে কূটনীতিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। কূটনীতি কাজে না আসলে বিকল্প পথ বেছে নিতে হবে আমাদের। তবে বিকল্পগুলো কী বা কেমন হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চলতি বছরের গত জুনে নেতানিয়াহুর এক দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন কট্টর ইহুদিবাদী বেনেট। তার আশা, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ইরানের পরমাণু চুক্তির আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রভাবিত করতে সক্ষম হবেন।
এদিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার পরমাণু আলোচনা স্থগিত রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স