মে ৩১, ২০২৪, ০১:০০ পিএম
একদিকে যেমন সংগঠিত হচ্ছে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী, অন্যদিকে তেমনই দুর্বল হচ্ছে জান্তা। দিন যত সামনের দিকে যাচ্ছে, ততই এই দৃশ্যপট আরও বেগবান হচ্ছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত এলাকার সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগ সংঘাতেই পেরে উঠছে না জান্তা বাহিনী।
আন্তর্জাতিক দুই থিঙ্কট্যাংক সংস্থা স্পেশাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমার (স্যাক-এম) অ্যাড ও ক্রাইসিস গ্রুপের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
স্যাক-এমের প্রতিবদেনে বলা হয়, এখনকার মিয়ানমারের ৮৬ শতাংশ শহর ও গ্রামে জান্তার কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এসব শহর ও গ্রামে দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ বসবাস করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্যাক-এমের গবেষয়করা বলেন, “শাসক হিসেবে ন্যূনতম যেসব দায়িত্ব পালন করা উচিত, মিয়ানমারের বেশির ভাগ এলাকায় সেসবও পালন করতে পারছে না জান্তা। দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এলাকা এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে ও এর ফেলে ব্যাপক চাপে পড়া জান্তাগোষ্ঠী এখন আক্রমণাত্মক অবস্থান ছেড়ে রক্ষণাত্মক ভূমিকা নিতে বাধ্য হচ্ছে।”
এদিকে ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “গত ৮ মাসে বেশির ভাগ সংঘাতে বিজয় মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আরও সংগঠিত হয়েছে। এমনকি মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তও এখন তাদের দখলে।”
সূত্র: রয়টার্স