অস্ট্রেলিয়ায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী টানা বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় প্লাবিত এলাকায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমির। এমনকি বিমানবন্দরও তলিয়ে গেছে। গত ৪৬ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম বন্যা এটি।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বানের পানিতে প্লাবিত শহর-অঞ্চল। পরিস্থিতি বিবেচনায় হাজারো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে এখনও পানিতে আটকা পড়ে আছেন বহু মানুষ।
এক বছরে গড়ে যে বৃষ্টিপাত হয় তা মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই হয়েছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর কেয়ার্সন নগরীতে ২ মিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া কিছু ছবিতে দেখা যায়, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কেয়ার্নস বিমানবন্দর, বিমানগুলো পানিতে ডুবে আছে। শহরের মাঝখানে বন্যার পানিতে সাঁতার কাটছে একটি কুমির। লোকজন নৌকায় করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু বা কারো নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া যায়নি। গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) কেয়ার্নসে বজ্রপাতের পর ১০ বছর বয়সী এক মেয়ে আহত হয় এবং তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
কুইন্সল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী (প্রিমিয়ার) স্টিভেন মাইলস অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেন, আমি যতটা মনে করতে পারি প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়টি (অতীতের তুলনায়) সবচেয়ে খারাপ। কেয়ার্নস শহরের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছি এবং তারা বলছেন, তারা এর আগে এরকম বন্যা কখনও দেখেনি।
বন্যার পানিতে বন্দি হয়ে পড়া কয়েকশ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়িঘর ভেসে গেছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। কোথাও কোথাও সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানীয় জলের সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে।