ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের করাচি, পাঞ্জাবের কিছু এলাকা ও গিলগিট-বালতিস্তানে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ঢল, বন্যা ও ঘরবাড়ি ধসের ঘটনায় আরও অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের বরাতে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, রোববারের এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়। এবার দেশটির অনেক অংশজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে কর্তৃপক্ষ দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে।
উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ও শনিবার ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যা, হড়কা বান ও ঘরবাড়ি ধসে দেশটির চার প্রদেশে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়। বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার লাহোরে বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে ও আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে দেয়াল ধসে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয় এবং ১০ জন আহত হন। প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের মধ্যে একটি বিলবোর্ডে ধসে এক মোটরসাইকেল চালক ও তার পরিবারের ওপর গিয়ে পড়ে। এতে ওই মোটরসাইকেল চালক নিহত হন এবং তার স্ত্রী ও সন্তান আহত হন। আহতদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে লাহোরের বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপরে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ জখম হননি।
পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন করাচি পিপিপির এক নেতার ছোট ভাই। এই নেতা পাকিস্তানের সাবেক আইনপ্রণেতা।
নগর পুলিশের এসএসপি আরিফ আজিজ ডন ডটকমকে জানান, ওই নেতার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আনোয়ার (৪১) করাচির খাদ্দা মার্কেট এলাকায় এক বৈঠক স্থলে বসে ছিলেন, সেখানে একটি বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পড়ে। আনোয়ার বৃষ্টিভেজা এক দেয়ালের সকেটে একটি প্লাগ লাগাতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হওয়ার পর দেখতে পায়, বৈদ্যুতিক তারটি তখনও আনোয়ারের হাতে ধরা।
আরেক ঘটনায় নগরীর ক্লিফটন এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভেজা বৈদ্যুতিক খাম্বায় স্পর্শ লেগে ত্রিশোর্ধ আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
উত্তরাঞ্চলীয় গিলগিট বালতিস্তানে গিলগিট শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের ঐতিহাসিক পর্যটনস্থান কার্গাহ নালায় হড়কা বানে ভেসে গিয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়।
এদিকে পাঞ্জাবের শরিফপুরায় বৃষ্টির মধ্যে একটি মাটির ঘর ধসে দুইজন নিহত ও অপর একজন আহত হন।
রোববারের ২৪ ঘণ্টায় পাঞ্জাবের বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাত রেকড করা হয়েছে। এরমধ্যে লাহোর বিমানবন্দর ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।