ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বিপুল ব্যবধানে পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভোটের ফলাফল হিসাব করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সংবাদমাধ্যম এপি। উত্তর ক্যারোলিনা, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া এবং জর্জিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে বিজয়ের পরে, প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেরিয়ে গেছেন ট্রাম্প।
গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে কঠোর ও ব্যক্তিগত আক্রমণ চালিয়ে আসছিলেন। তার বর্ণবাদী ও নারীবিদ্বেষী মন্তব্য প্রায়ই সীমা অতিক্রম করেছিল যা তার সমর্থকদের আরও উস্কে দিয়েছিল।
নিজের নির্বাচনী প্রচারনায় ট্রাম্প দেশের সংকটের চিত্র তুলে ধরেছিলেন, যেখানে অপরাধ ও অভিবাসীদের আধিক্য রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন এবং কঠোর, বাস্তবমুখী নেতৃত্বের মাধ্যমে সবকিছু ঠিক করার প্রতিশ্রুতিও দেন।
তিনি দেশের পুনরুজ্জীবিত এবং অভিবাসন, অপরাধ ও সরকারি দুর্নীতির মতো বিষয়গুলোতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন অনেকেই, বিশেষ করে পুরুষরা।
ট্রাম্প জয় উদযাপন করেছেন তার সমর্থক, পরিবার, তার রানিং মেট এবং জে.ডি ভ্যান্সের সঙ্গে যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন। এক ভাষণে তিনি বলেন, “আমরা আজ রাতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। আমরা একটি কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছি, এটি জনগণের বিজয়।”
আরও পড়ুনঃ বিশাল জয়ের পথে ট্রাম্প: বললেন, আমেরিকা আবার মহান হবে
কিন্তু তার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পথ সহজ ছিল না। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার বিতর্কিত অতীত এবং ফৌজদারি অপরাধের কারনে বিপুল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এরপরও, তার সমর্থকরা তার প্রতি বিশ্বাস ধরে রাখেন এবং প্রচলিত সিস্টেমের বিরুদ্ধে তার যে লড়াইয় তাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। কেননা তিনি সরকারকে পাল্টে দেওয়া এবং তার রাজনৈতিক শত্রুদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা হল ফেডারেল সিস্টেমকে সম্পূর্ণভাবে সংস্কার করা যা তিনি "আমেরিকান শক্তি" বলে অভিহিত করেছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিজয়ের সাথে, আমেরিকান রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। নিশ্চিত ভাবে বলা চলে তার হোয়াইট হাউজে এই প্রত্যাবর্তন কোনভাবেই সাধারণ হবে না।
আমেরিকার ভবিষ্যত এখন ট্রাম্পের হাতে। তিনি কীভাবে তার ক্ষমতা ব্যবহার করবেন, এখন তা দেখার বিষয়। আমেরিকার ভবিষ্যতের জন্য লড়াই সবে মাত্র শুরু হয়েছে।