মিয়ানমারে ভূমিকম্প: মৃত প্রায় সাড়ে তিন হাজার, নতুন চ্যালেঞ্জ ‘বৃষ্টি’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম

মিয়ানমারে ভূমিকম্প: মৃত প্রায় সাড়ে তিন হাজার, নতুন চ্যালেঞ্জ ‘বৃষ্টি’

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় ত্রাণ প্রচেষ্টা জটিল হয়ে উঠতে ও রোগ ছড়াতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ত্রাণ সংস্থাগুলো।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে এসব কথা বলা হয়।

২৮ মার্চ দেশটির মধ্যাঞ্চলে হওয়া ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা ৪৬৭১ জন এবং এখনো নিখোঁজ ২১৪ জন।

জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে বাড়িঘর হারানো মানুষদের আশ্রয়ের জন্য আরও তাঁবু প্রয়োজন।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকায় শনিবার বৃষ্টি হয়েছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, অসময়ে বৃষ্টি ও অতিরিক্ত গরমের কারণে খোলা জায়গায় তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মধ্যে কলেরার মতো বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া ফ্লেচার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ করা পোস্টে বলেছেন, “পরিবারগুলো তাদের বাড়ির ধ্বংসাবশেষের কাছে বাইরে ঘুমাচ্ছেন। তাদের প্রিয়জনদের মৃতদেহ ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। সত্যিকারের ভয় হচ্ছে আরও ভূমিকম্প।আমাদের আরও তাঁবু দরকার।”

অধিক সংখ্যক মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সমন্বিত, শক্তিশালী পদক্ষেপ দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

গত সপ্তাহজুড়ে প্রতিবেশী চীন, ভারত ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় দেশগুলো মিয়ানমারে ত্রাণ সরবরাহ করেছে ও উদ্ধারকারী টিম পাঠিয়েছে। দুই কোটি ৮০ লাখ বাসিন্দার দেশটির ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে এখন পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৪ জনে দাড়িয়েছে। মিয়ানমারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পের ধাক্কায় নির্মাণাধীন ৩৩তলা একটি ভবন ধসে পড়ে; থাইল্যান্ডের মোট মৃতের ১৭ জনই এখানে নিহত হয়েছেন। দেশটিতে এখনও ৭৭ জন নিখোঁজ আছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন শুক্রবার জানিয়েছে, গৃহযুদ্ধ কবলিত মিয়ানমারের জান্তা সরকার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও সামরিক বাহিনী বিরোধীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে।

ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স নামের একটি ত্রাণ সংস্থা শনিবার রয়টার্সকে জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কারেনি ও শান রাজ্যে বোমাবর্ষণ করেছে, এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেসামরিকও আছেন।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে এ ধরনের সাতটি সামরিক হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সংস্থাটি অভিযোগ করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে।

Link copied!