যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

কেনেথ ইউজিন স্মিথ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথমবারের মতো বিতর্কিত পদ্ধতি ব্যবহার করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলো। যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যে খুনি কেনেথ ইউজিন স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।  ১৯৯৬ সাল থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন স্মিথ।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে আসামি কেনেথ স্মিথের করা আবেদনটি গতকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারি) খারিজ করে দেয় আদালত।

গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছিল, পরবর্তী ৩০ ঘণ্টার মধ্যে দণ্ড কার্যকর করা হবে।

কারা কর্মকর্তারা বলেছেন, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটের দিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

২০২২ সালে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগ করে প্রথম দফায় কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চেষ্টা করা হয়। তবে তখন কয়েকবার চেষ্টা করেও স্মিথের শরীরে ইনজেকশনের সুচ ঢোকাতে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ। পরে ইনজেকশনের মাধ্যমে দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। আলাবামার রিপাবলিকান গভর্নর কে আইভি আলাবামা অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পর পর্যালোচনা শেষ হয়। কেনেথ স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

অক্সিজেন ছাড়া নাইট্রোজেন গ্যাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে কোষগুলো ভেঙে যায় এবং মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। বিশেষভাবে তৈরি একটি মাস্ক পরানো হয় আসামীকে। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। মাস্কটি নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর আগে আদালতে বলা হয়েছিল, নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের ফলে স্মিথ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান হারাবেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু কিছু চিকিৎসক এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছিলেন। তারা সতর্ক করেছিলেন, এই পদ্ধতিতে মারাত্বক খিঁচুনি হতে পারে। এ ছাড়া এমন অবস্থা হতে পারে যেখানে, ওই ব্যক্তিকে দেখে মনে হবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিন্তু আসলে তিনি সজাগ।

Link copied!