লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সবচেয়ে শীর্ষ জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ফুয়াদ শোকরকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
আরও পড়ুন: হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানের তেহরানে নিহত
নিজেদের জ্যেষ্ঠ নেতার মৃত্যুর খবর প্রথমে নিশ্চিত না করলেও পরে হিজবুল্লাহ জানায়, বৈরুতের একটি ভবনে ফুয়াদকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে তিনি নিহত হন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গোষ্ঠীটির সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহ ফুয়াদের জানাজার আগে বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে এই অঞ্চলে নিযুক্ত অন্য একটি দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নামপ্রকাশ না করার শর্তে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, হামলায় গুরুতর আঘাত পেয়ে নিহত হয়েছেন শোকর।
রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানান, স্থানীয় সময় বুধবার সকালে লেবাননের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণের দাহিয়া শহরের এই ভবনে পৌঁছায়। সেখানে তারা ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কারে ব্যস্ত ছিল।
এর আগে ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে প্রাণঘাতী হামলার জন্য ফুয়াদকে দোষারোপ করতে থাকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এই হামলায় ১০-২০ বছর বয়সের ১২ জন শিশু-কিশোর প্রাণ হারায়।
স্থানীয় সময় বুধবার সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, বৈরুতের দক্ষিণে একটি শহরের উপকণ্ঠে একটি ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তখন এই ভবনেই অবস্থান করছিলেন ফুয়াদ শোকর। তবে হামলায় তার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
গত সপ্তাহে অধিকৃত গোলান মালভূমিতে হামলার দায় এরই মধ্যে অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, “শোকরের হাতে অনেক ইসরায়েলির রক্ত রয়েছে। আজ রাতে আমরা দেখিয়েছি, আমাদের জনগণের রক্তের দাম আছে এবং কোনো অবস্থানই আমাদের বাহিনীর আওতাবহির্ভূত নয়।”
একই দিন স্থানীয় সময় বুধবার সকালে ইরানের তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হন।
প্রসঙ্গত, ফুয়াদ শোকরের বয়স ৬০ বছরের বেশি বলেই ধারণা করা হয়। ওয়াশিংটন জানায়, ১৯৮৩ সালে বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনাসদস্যদের ব্যারাকে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনা তারই ছিল। ওই ঘটনায় ২৪১ মার্কিন সেনা নিহত হন। তাকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।