নভেম্বর ৫, ২০২৫, ১০:৩০ এএম
নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি। ৩৪ বছর বয়সী এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম এবং প্রথম মিলেনিয়াল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে মামদানি সহজ ব্যবধানে পরাজিত করেছেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে। এবারের নির্বাচনে রেকর্ড ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৭ জন আগাম ভোট দিয়েছেন—যা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যতীত নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতি
নির্বাচনি প্রচারণায় মামদানি প্রধান গুরুত্ব দিয়েছেন জীবনযাত্রার ব্যয় এবং আবাসন সংকট নিরসনে। তিনি ভাড়া স্থগিতকরণ, সিটি-পরিচালিত মুদি দোকান চালু এবং নগরবাসীর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গণপরিবহন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অবিশ্বাস্য রাজনৈতিক উত্থান
এক বছর আগে রাজনীতিতে আবির্ভূত হওয়া মামদানির জন্য এটি এক অভূতপূর্ব উত্থান। একজন তুলনামূলক অপরিচিত স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান থেকে তিনি আমেরিকার বৃহত্তম শহরের নেতৃত্বে উন্নীত হয়েছেন। মাত্র পাঁচ মাসে তিনি নিউইয়র্কের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যকে দুইবার পরাজিত করেছেন।
বিতর্ক ও চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনি প্রচারণায় মামদানি "গ্লোবালাইজ দ্য ইন্তিফাদা" স্লোগান অবিলম্বে নিন্দা না করায় সমালোচনার মুখে পড়েন। যদিও তিনি কখনও এই স্লোগান ব্যবহার করেননি, পরবর্তীতে তিনি ঘোষণা করেন যে নিজে এটি ব্যবহার করবেন না এবং অন্যদেরও নিরুৎসাহিত করবেন।
নির্বাচনের শেষ সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কুয়োমোর পক্ষে সমর্থন গভীর নীল রাজ্য নিউইয়র্কে কোনো প্রভাব ফেলেনি—বরং বিপরীত ফল দেখা গেছে।
সামনের পথ
মামদানির ঐতিহাসিক জয় ডেমোক্র্যাটদের উৎসাহিত করলেও, তার সামনে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ। তার উচ্চাভিলাষী প্রগতিশীল কর্মসূচি কতটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে এবং ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে তিনি কীভাবে মোকাবিলা করবেন—সেটাই এখন মূল প্রশ্ন।