জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়লেন সানায়ে তাকাইচি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২১, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়লেন সানায়ে তাকাইচি

সানায়ে তাকাইচি

জাপানের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন সানায়ে তাকাইচি। দেশটির পার্লামেন্টে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-এর এই নেতা নিম্নকক্ষে ২৩৭ ও উচ্চকক্ষে ১২৫ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন।

চলতি মাসের শুরুতেই তাকাইচি এলডিপির সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ভেঙে পড়ায় প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ কিছু সময়ের জন্য থেমে গিয়েছিল। পরবর্তীতে এলডিপি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠন করে তাকাইচিকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়। সেই জোটের নেতৃত্বেই তিনি আজ দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত হলেন।

জাপানে কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় আছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলের জনপ্রিয়তা কমে আসায় তাকাইচির জন্য এটি ছিল এক বড় চ্যালেঞ্জ। গত পাঁচ বছরের মধ্যে তাকাইচি দেশটির চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি জাপানের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেন। তাঁর ভাষায়, “জাপানকে এমনভাবে গড়ে তুলব যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন হয় আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়।” পাশাপাশি নারীদের স্বাস্থ্যসচেতনতা ও অংশগ্রহণ বাড়াতেও উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ যেখানে এখনো সীমিত, সেখানে সানায়ে তাকাইচির এই জয়কে জাপানের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে সমালোচকদের মতে, রক্ষণশীল ভাবধারার এই নেত্রীর হাতে নারী অধিকার কতটা অগ্রগতি পাবে, তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে।

৬৪ বছর বয়সী তাকাইচি একসময় ছিলেন হেভি মেটাল ব্যান্ডের ড্রামার। দৃঢ় ও অনমনীয় নেতৃত্বগুণের কারণে অনেকেই তাঁকে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেন। তাই তাঁকে অনেকে ডাকেন জাপানের ‘আয়রন লেডি’ নামে।

এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাপান শুধু একটি নতুন নেতৃত্বই পেল না, বরং বিশ্ব দেখল—দীর্ঘ পুরুষ-প্রাধান্য রাজনীতির ভেতর থেকেও এক নারী কীভাবে ইতিহাস গড়ে ফেলতে পারেন।

 

Link copied!