গাজা সিটিতে এক সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সালেহ আলজাফারাউই নিহত হয়েছেন। রোববার তার মরদেহ পাওয়া যায়। এর আগে শুক্রবার গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
ফিলিস্তিনি সূত্র আল জাজিরা আরবিকে জানায়, শহরের সাবরা অঞ্চলে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করার সময় একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হন ২৮ বছর বয়সী আলজাফারাউই। যুদ্ধ চলাকালীন ভিডিও ধারণ করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি।
এই সাংবাদিক রোববার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। অন্য সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের প্রকাশ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি ট্রাকের পেছনে প্রেস জ্যাকেট পরা তার মরদেহ পড়ে ছিল। আল জাজিরার যাচাই সংস্থা সনদ এসব ফুটেজ যাচাই করেছে।
ফিলিস্তিনি সূত্র জানায়, রোববার সাবরায় হামাসের নিরাপত্তা বাহিনী ও দগমুশ গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এটি নিশ্চিত করেনি।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র আল জাজিরা আরবিকে জানায়, গাজা সিটিতে সংঘর্ষে ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ছিল।
সূত্রটি জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ঘেরাও করে রেখেছে। দক্ষিণ গাজা থেকে গাজা সিটিতে ফিরে আসছিলেন, এমন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেন ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা।
যুদ্ধবিরতির পরও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বারবার সতর্ক করে বলেছে, গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
জানুয়ারিতে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলজাফারাউই বলেন, এই যুদ্ধে তিনি যেসব দৃশ্য ও পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তা কখনও স্মৃতি থেকে মুছে যাবে না। ‘আমরা যে সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, তা আমরা কখনও ভুলতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, নিজের কাজের কারণে ইসরায়েল থেকে তিনি বহুবার হুমকি পেয়েছেন। ‘সত্যি বলতে, আমি প্রতিটি মুহূর্ত ভয়ে বাঁচতাম। জানতাম না পরের মুহূর্তে কী ঘটবে।’
ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ২৭০-এর বেশি মিডিয়াকর্মী নিহত হয়েছেন।