এবার গাজার দখল নিতে চান ট্রাম্প

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ১২:৫২ পিএম

এবার গাজার দখল নিতে চান ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের অন্য কোথাও পুনর্বাসিত করে গাজা ভূখন্ডের দখল নেয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন। ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রনেতা ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে এলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসে মঙ্গলবার বৈঠক হয় ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর। বৈঠকের পর দুই নেতা একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। গাজায় না ফাটা বোমা যুক্তরাষ্ট্র দায়িত্ব নিয়ে পরিষ্কার করবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। গাজাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার কথাও বলেছেন তিনি। কারণ, গাজার মালিকানা চায় আমেরিকা।

ট্রাম্পের বক্তব্য, ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকার আধিপত্য আছে। এবার সরাসরি গাজার মালিকানা চাইছেন তিনি।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ব্যাংক বা পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আধিপত্য নিয়ে ওয়াশিংটন এখনো পর্যন্ত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। আগামী মাসের মধ্যেই আমেরিকা এবিষয়ে তাদের মতামত জানাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ইরানের সঙ্গেও চুক্তি করতে চান তিনি। কিন্তু ইরানকে কোনোভাবেই পরমাণু চুক্তি করতে দেয়া যাবে না।

নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যে শান্তিচুক্তি হওয়া সম্ভব। খুব দ্রুত এই চুক্তি হবে বলে আশাবাদী ট্রাম্প। অন্যদিকে, নেতানিয়াহু বলেছেন, তার সবচেয়ে বড় বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর প্রস্তাব

গাজা স্ট্রিপ থেকে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সরিয়ে দেওয়ার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের কথায়, “আমরা ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তিপূর্ণ, সুন্দর কোনো ব্যবস্থা করতে পারি। যেখান থেকে তারা আর ফিরতে চাইবেন না।” গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে পাকাপাকিভাবে কোনো জায়গায় থাকতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। গাজাকে একটি ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। বলেছেন, তিনি বুঝতে পারছেন না, কেন ফিলিস্তিনিরা সেখানে ফিরতে চাইবেন।

এর আগে জর্ডান এবং মিশরকে ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন, গাজার অধিবাসী ফিলিস্তিনিদের ওই দুই দেশে জায়গা দিতে। কিন্তু দুই দেশই এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। এদিন ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে তাদের পাঠানোর কথা ভাবছেন তিনি।

ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বস্তুত, আমেরিকা সফরের আগেই নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে দোহায় একটি দল পাঠাতে চান তিনি। যুদ্ধবিরতি নিয়ে যারা নতুন করে আলোচনায় বসবে।

Link copied!