রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তার অংশ হিসেবে যে অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছিল তা থেকে সরে এসেছে জার্মানি। ওই অস্ত্রগুলো আপাতত না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ইউক্রেনকে আধুনিক অস্ত্র দেওয়ার আগে তাদের সেনাদের আগে প্রশিক্ষণ দিতে হবে কিভাবে সেগুলো চালাতে হয়।তার এমন বক্তব্যের পর জার্মানির রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই আশঙ্কা করছেন, চ্যান্সেলর হয়ত অস্ত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছেন।
চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের এমন ইঙ্গিত দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সোমবার রাতে জার্মান গণমাধ্যম জেডডিএফ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “জার্মানির ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে চলা উচিত না। আমরা চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের কাছ থেকে নিশ্চয়তা চাই যে জার্মানি ইউক্রেনকে সমর্থন করে।“
তিনি আরও বলেন, “চ্যান্সেলর এবং তার সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে-ইউক্রেনের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে না আবার রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কও রাখা যাবে না।”
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।
তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।