সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে চলছে বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনা। কেউ বলছে ৩০ ই ঠিক। কেউ আবার ৩৫ নয়ত ৩২। যদিও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার কোন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নেই। একেক দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা একেক রকম। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কত-
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীদের একাংশ।
পাকিস্তান
সার্কভুক্ত আরেকটি দেশ হলো পাকিস্তান। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২১ থেকে ৩০ বছর।
শ্রীলংকা
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলংকা। এই দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪৫ বছর।
ভারত
ভারতের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বেশ অদ্ভূত। রাজ্যভেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৫ বছর। পশ্চিমবঙ্গে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ বছর।
তাইওয়ান
পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইওয়ান। আর্থিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোর চেয়ে বেশ এগিয়ে তাইওয়ান। এই দেশে সরকারি চাকরিতে যোগ দেয়ার বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
কাতার
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনী দেশ কাতার। তেল সমৃদ্ধ এই দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর।
সুইডেনে
স্বপ্নে দেশ সুইডেন। সুখী দেশ হিসেবেও এর সুনাম রয়েছে। এ দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ ৪৭ বছর পর্যন্ত থাকে।
ইন্দোনেশিয়া
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া। শ্রীলংকার মতো এ দেশের নাগরিকরাও সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে পারেন ৪৫ বছর পর্যন্ত।
ফ্রান্স
ইউরোপের অন্যতম ধনী ও পরাশক্তি ফ্রান্স। এ দেশে ৪০ বছর বয়স হলেও কেউ সরকারি চাকরি পেতে পারেন।
কানাডা
এই দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ ৪৭ বছর হলে শেষ হয়ে যায়।
ইতালি
ইউরোপের আরেক ধনী দেশে ইতালি। এ দেশেও ৩৫ বছর পর্যন্ত কেউ সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারেন।
আমেরিকা
বর্তমান বিশোর মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র। আধুনিকতা ও নাগরিক স্বাধীনতায় তারা নিজেদের সেরা দাবি করেন। সে অনুসারে এই দেশে ৫৯ বছর বয়সেও একজন নাগরিক সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে পারেন।