মে ১৬, ২০২২, ০৩:৩৫ পিএম
ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পথে তুরস্ক বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো। সম্প্রতি আমেরিকার আধিপত্য থাকা ইউরোপের সামরিক জোট ৩০ সদস্যের ন্যাটোর সদস্য হতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দেয় বাল্টিক দেশ ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন। রবিবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট শাউলি নিনিস্তো বলেন, শিগগিরিই ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হতে আবেদন করবে। অন্যদিকে সুইডেনের ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টি জানিয়েছে, একটি নীতি পরিবর্তন করে কয়েকদিনের মধ্যেই ন্যাটোর সদস্য হতে তারা আবেদন করবে। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী মাগডালিনা অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, সোমবারই একটি আবেদনে সমর্থন দেবেন তিনি। ন্যাটোর মিত্ররা আশা করছেন, সম্ভবত ন্যাটোর সদস্য হতে ফিনল্যান্ডের সঙ্গে এক হয়ে আবেদনটি করা হবে। সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে, যদি সুইডেন ন্যাটোর সদস্য না হয় তবে ভবিষ্যতে বড় ধরণের হুমকিতে পড়বে।
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে তুরস্ক যে শর্ত দিয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে ন্যাটো চিন্তাভাবনা করে দেখছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভিসোগলু বলেছেন, আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী) নিশ্চিত হয়েই বলছে, স্টকহোমে (সুইডেনের রাজধানী) যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী কুর্দিশ পিকেকের অস্থিত্ব রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে পিকেকের সদস্যরা স্টকহোমে কয়েক দফায় বৈঠকও করেছে বলে প্রমাণ থাকারও দাবি করেছে তুরস্ক। তুরস্ক চাইছে, ন্যাটোর সদস্য হতে হলে সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে দেশ দুটিকে।
ন্যাটোর যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হলে নিয়মানুযায়ী ৩০ সদস্য দেশের প্রতিটির সমর্থন প্রয়োজন হয়। শীতল যুদ্ধের পর থেকে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন-এই দুটি দেশই নিরপেক্ষ অবস্থান নীতি মেনে আসছে। নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকা দেশগুলো সাধারণত যুদ্ধ এগিয়ে চলে এবং কাউকে যুদ্ধে সহায়তাও করে না। বাল্টিক অঞ্চলের এ দেশ দুটি রাশিয়ার প্রতিবেশী হওয়ায় শুরু থেকেই ন্যাটোর সদস্য হতে দেশ দুটির প্রচেষ্টার বিরোধী অবস্থানে মস্কো। একই ইস্যুতে ২৪ ফেব্রুয়ারী ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া।