ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক-সিরিয়াবাসীকে 'মানবিক ভিসা' দেবে অস্ট্রেলিয়া

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৩:২৩ পিএম

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক-সিরিয়াবাসীকে 'মানবিক ভিসা' দেবে অস্ট্রেলিয়া

গত ৬ ফেব্রুয়ারি পরপর দুটি ভূমিকম্প ও আফটার শকে বিধ্বস্ত হয়ে যায় তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলের কয়েকটি শহর। মৃত্যুর তালিকায় নাম উঠেছে প্রায় অর্ধলাখ মানুষের। কয়েক লাখ মানুষ হয়েছে বাস্তুচ্যুত। বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর গৃহহীন মানুষদের অস্ট্রেলিয়ায় যেতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। 

তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসতে আগ্রহীদের জন্য 'মানবিক ভিসা' প্রক্রিয়ার উদ্যোগ যেন দ্রুত হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার। দুটি দেশের কয়েক লাখ গৃহহীন মানুষকে মানবিক সহায়তা দিতে চাইছে দেশটি।

প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন বিদেশিদের ৩৫ হাজার স্থায়ী ভিসা দিয়ে থাকে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার করা হয়েছে। এই ভিসার একটি অংশকে 'মানবিক ভিসা' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর আওতায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন।

ভূমিকম্পের পর আত্মীয়দের ভিসার আবেদনগুলোর প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিল তুরস্ক ও সিরিয়া বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানরা।

সরকার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্তদের ভিসা আবেদন দ্রুত করার কথা বিবেচনা করছে জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এক বিভাগীয় মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'প্রক্রিয়ার সময় ভিসার ধরন ও আবেদনকারীর পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। সহানুভূতিশীল ও বাধ্যতামূলক পরিস্থিতিতে ভিসার আবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।'

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ যারা ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং দেশে ফিরতে পারছেন না তারাও তাদের থাকার অস্থায়ী ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।

সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, সব ভিসা আবেদনকারীকে অবশ্যই অভিবাসন আইনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে "কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষা" অন্তর্ভুক্ত আছে।'

সংঘাতের কারণে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ত্রাণ প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চলের অনেকে এখনো মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত। ভূমিকম্পের পরপরই যখন জাতিসংঘের ব্যবহৃত একটি পথ সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করা হলে দেশটিতে ত্রাণ বিতরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, সেই এলাকার মানুষের কল্যাণে বাধা পাওয়ায় তারা খুবই উদ্বিগ্ন। সেখানে ভূমিকম্পের আগে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।

সিরিয়ার নাগরিকদের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার এক সরকারি মুখপাত্র বলেছেন যে, মানবিক ভিসার উদ্যোগ 'কেস বাই কেস ভিত্তিতে' নেওয়া হবে।

Link copied!