অক্টোবর ১, ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভার সিরোসিসসহ ভুগছেন নানা শারীরিক জটিলতায় । জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার পাচ নম্বর বিশেষ আদালত। এরপর একই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তাঁর সাজা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দশ বছর করেন হাইকোর্ট।
২০২০ সালে মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশ দন্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি দেয়, এরপর দফায় দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোয় ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর অবধি যেতে হয়নি কারাগারে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যদি বিদেশে যেতে চায় তবে নির্বাহী আদেশ বাতিল করে ফের জেলে যেতে হবে খালেদা জিয়াকে। ফৌজদারি দন্ডবিধি ৪০১ ধারায় মুক্তি দিয়ে তাকে দুটি শর্ত দেয়া হয় যা হলো তিনি বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিবেন এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না। তাই এখন যদি চিকিৎসা নিতেই হয় তবে তাকে জেলে গিয়ে আদালতে ফের আপিল করতে হবে।
রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানায়।
আইনমন্ত্রী বলেন, এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মতামত দিয়েছেন, তাই আইনের অবস্থান এবং সেটাই সঠিক বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার।
কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন, এখনো তিনি সেখানেই থাকছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে কয়েক দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।