সম্প্রতি অনলাইনে ভাইরাল হওয়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেকেই ফ্রিজের ভেতর টয়লেট পেপার রেখে দেওয়ার মতো একটি অপ্রচলিত বিষয়ে মেতে উঠেছেন। কিন্তু কেন?
নিউ ইয়র্ক পোস্টের মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। এই প্রতিবেদনে ফ্রিজের ভেতর টয়লেট পেপার রাখার যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
ফ্রিজের ভেতর বাসি খাবার কিংবা দুধ থেকে যে ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে তাতে অস্বস্তির মধ্যে পড়েন ব্যবহারকারীরা। তবে অনেকেই দাবি করেছেন, ফ্রিজের ভেতর টয়লেট পেপার রেখে দিলে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ ফ্রিজের ভেতর ঘ্রাণ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী আর্দ্রতাকে শুষে নিতে পারে ওই টয়লেট পেপার।
তবে ফ্রিজের মধ্যে টয়লেট পেপার রেখে দুর্গন্ধ এড়ানোর বিষয়টি অনেকের পছন্দ না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প আরেকটি উপায়ের কথা বলেছে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট প্যারাদে। সেই বিকল্পটি হলো বেকিং সোডা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রিজের ভেতর রাখা টয়লেট পেপার যেখানে তিন সপ্তাহ পর পর বদলাতে হবে সেখানে বেকিং সোডা প্রতি তিন মাসে একবার বদলালেই চলবে এবং খরচও তুলনামূলক কম হবে। বেকিং সোডা ফ্রিজের ভেতরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী অ্যাসিডকে দূরে রাখে।
তবে দুর্গন্ধ দূর করতে যারা টয়লেট পেপারকেই বেছে নিতে আগ্রহী তাদেরকে প্যারাদের পরামর্শ হলো—এটি অবশ্যই তিন সপ্তাহ পর পর পরিবর্তন করতে হবে।
শুধু তাই নয়, ব্যবহৃত টয়লেট পেপারটি বাথরুমে পুনরায় ব্যবহার না করারও পরামর্শ দিয়েছে ওয়েবসাইটটি।
তাদের মতে, খরচ এবং কার্যকর বিকল্প হিসেব বেকিং সোডাও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং গন্ধ উৎপন্নকারী অ্যাসিড দুটিই দূর করতে ভালো কাজ করে।
সেই সাথে টয়লেট পেপার যেখানে তিন সপ্তাহ পর পর বদলাতে হবে সেখানে বেকিং সোডা প্রতি তিন মাসে একবার বদলালেই চলবে এবং খরচও তুলনামূলক কম হবে।
তবে দুর্গন্ধ দূর করতে যারা টয়লেট পেপারকেই বেছে নিতে আগ্রহী তাদেরকে প্যারাদের পরামর্শ হলো- নতুন টয়লেট পেপার ব্যবহার করুন এবং তিন সপ্তাহ পরে রোলটি ফেলে দিন। “বাথরুমে রোলটি পুনরায় ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না”।