যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মৃত্যু: দ্বিতীয় বিবৃতি দিলো বিএসএমএমইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১৮, ২০২৩, ১২:৪০ এএম

যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মৃত্যু: দ্বিতীয় বিবৃতি দিলো বিএসএমএমইউ

সংগৃহীত ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুকে ঘিরে দ্বিতীয় বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের সময় পরিস্থিতি শান্ত-স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ধীরে ধীরে লোকজন জড়ো হতে থাকে এবং আনুমানিক ভোর ৪টা থেকে ভীতিকর ও উশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বিএসএমইউ রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমানের সই করা ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়,‘তাদের জমায়েত, মিছিল-চিৎকার রোগী ও সেবা প্রদানকারীদের সেবা প্রদানে বাধা ও বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ক্রমান্বয়ে তারা আরও উশৃঙ্খল হতে থাকে এবং হাসপাতালের অবকাঠামোগত ক্ষতি করতে থাকে। হাসপাতালের দুই নম্বর গেটের দেওয়াল ভাঙ্গা, লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংকের সীমানা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করা, ব্রাকি থেরাপি ও ই-ব্লকের পাইপলাইন ভেঙে ফেলা, বাগানের গ্রিল উপড়ে ফেলাসহ জেনারেটর ভবনের সামনের ইট ভেঙে টুকরো টুকরো করে সেগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ওপর ছুড়ে মারে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অ্যাম্বুলেন্সসহ সরকারি ও বেসরকারি ৭টি গাড়ির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। ফলে আরও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় রোগী এবং সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকে। ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের রোগীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি সম্পত্তি ও জান-মালের নিরাপত্তার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক করেন।’

প্রথম বিবৃতিতে যা বলা হয়েছিল: এর আগে, বুধবার (১৬ আগস্ট) বিএসএমএমইউ’র প্রথম বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ইমারজেন্সি বিভাগে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আনিত রোগী জনাব দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (৮৪) সাহেবের ভর্তি শুরু হইতে পরবর্তী সকল চিকিৎসা বিধি সম্মতভাবে আন্তর্জাতিক প্রাকটিস অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তার চিকিৎসায় অত্র হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সকল চিকিৎসা দানকারী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকরা সঠিকভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। পরদিন ১৪ আগস্ট বিকেল ৬টা ৪৫ মিনিটে তার সাডেন কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়। তার এডভান্স কার্ডিয়াক লাইফ সাপোর্ট প্রটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা চলতে থাকে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’

এই রোগের গতিপ্রকৃতি, চিকিৎসা ও সম্ভাব্য পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে তার সন্তান জনাব মাসুদ সাঈদী সম্যকভাবে জ্ঞাত আছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

Link copied!